ভারতের আসাম রাজ্যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা টি শার্ট, জিন্স ও লেগিংস পড়ে স্কুলে আসতে পারবেন না। গত শনিবার আসাম সরকারের শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য ড্রেস কোড চালুর ঘোষনা দিয়েছে। এতদিন ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ড্রেস কোড চালু ছিল, এবার থেকে রাজ্যের সব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও ড্রেস কোড মেনে স্কুলে আসতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন শিক্ষক (পুরুষ ও মহিলা উভয়েই) তাদের দায়িত্ব পালনের সময় সমস্ত ধরণের শালীনতার উদাহরণ হবেন, তাই একটি ড্রেস কোড অনুসরণ করা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। এই ড্রেস কোড মেনে না চললে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। শিক্ষা দফতরের মতে, পুরুষ ও মহিলা উভয় শিক্ষককে পরিষ্কার, শালীণ পোষাক পরতে হবে। নৈমিত্তিক বা পার্টি পোষাক কঠোর ভাবে এড়ানো উচিত।
নতুন নির্দেশে বলা হয়, পুরুষ শিক্ষকরা আনুষ্ঠানিক প্যান্ট শার্ট পড়ে স্কুলে আসবেন। কোনও অবস্থাতেই টি শার্ট ও জিন্সের মত পোষাক পরে আসতে পারবেন না। আর নারী শিক্ষকরা শালীন সালোয়ার স্যুট, শাড়ি বা মেখলা চাদর পরে স্কুলে আসতে পারবেন। কিন্তু টি শার্ট, জিন্স বা লেগিংস পরে আসতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক তাদের পছন্দের পোষাক পরা অভ্যাসে পরিণত করেছেন, যা কখনো কখনো জনসাধারণের কাছে গ্রহণীয় মনে হচ্ছে না। যেহেতু একজন শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব পালনের সময় সবধরণের শালীনতার উদাহরণ হিসেবে প্রত্যাশা করা হয়, তাই এমন একটি ড্রেস কোড অনুসরণ করা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে যা কর্মক্ষেত্রে সাজসজ্জা, শালীনতা, পেশাদারিত্ব এবং উদ্দেশ্যের গুরুত্ব তুলে ধরবে।
আসামের শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফর্ম রয়েছে। সুতরাং শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিক পোষাক পরে স্কুলে আসা উচিত। তিনি আরও বলেছেন, আসাম সরকার সমস্ত সরকারি স্কুলের জন্য একটি নিয়ম বিধি চালু করতে চলেছে। এই বিধিতে কীভাবে স্কুল পরিচালিত হবে এবং কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।